ধাতু ধারণে কি ভাগ্য বদলায়।।রামকৃষ্ণ মন্ডল



আয়রন, তামা, সোনা, সিলভার, লেড, পারদ, জিঙ্কএ ইসব ধাতু দিয়ে দেহের কোনো রোগ সারানো যায় না। দেহে ধাতু থাকে, এই কথাটি সত্যি কিন্তু সেই ধাতুর ঘাটতি দেহের চামড়াতে লেগে থাকা আঙটি দিয়ে পূরন করার প্রচার ও ভাবনাটা চূড়ান্ত অবৈজ্ঞানিক। এবং আঙুলের অংটির ধাতু এবং দেহের মধ্যে থাকা ধাতু একই প্রকার নয়। 

১)  মানবদেহে কোনো মুক্ত ধাতু থাকে না,দেহে থাকে ধাতুর যৌগ।
২) ত্বকের উপরে ধাতু থাকলে, শরীর তা কোনোভাবেই শোষণ করতে পারে না। বরং কিছু ধাতু চামড়ার সাথে প্রতিক্রিয়া ঘটিয়ে চর্মরোগ সৃষ্টি করে।
৩) সীসা ও পারদের প্রয়োজনীয়তা মানবদেহে নেই।

একটি সহজ উদাহরনের সাহায্যে বুঝিয়ে দেওয়া যায়, ধাতু সরাসরি মানবদেহে প্রবেশ করলে লাভ তো দূরের কথা বরং দেহের ক্ষতিই করে। যেমন -খাদ্য সংরক্ষণের যে ধাতব কৌটা ব্যবহার করা হয়, তাতে লৌহার উপর টিনের আস্তরন দিতে হয়। কিন্তু জিঙ্কের আস্তরন দেওয়া আইন বিরুদ্ধ, যদিও জিঙ্কের আস্তরণ দেওয়ার খরচ কম, তবুও জিঙ্ক দেওয়া আইন বিরুদ্ধ। তাহলে বুঝুন, অষ্টধাতুর তৈরি অংটির মধ্যে থাকা জিঙ্কের গুরুত্ব কতটা ! আবার সীসাতো জিঙ্কের থেকেও বেশি ক্ষতিকারক,  ওদিকে অষ্ট ধাতুর অংটি তৈরির পর পারদ দিয়ে ঘষেমেজে চকচকে কর হয়। সেই পারদ তো সীসার থেকেও বেশি ক্ষতিকারক। এইসব ক্ষতিকর ধাতু খাদ্যদ্রব্যের সাথে মিশে যদি পেটেযায় সেক্ষেত্রে বিষক্রিয়া শুরু হয়।
           
সৌন্দর্য বৃদ্ধির ভাবনাটা বাদ দিলে, এইসব ধাতব আংটি আমাদের শরীর গঠনের ক্ষেত্রে কোনো ভূমিকা নেয় না, বরং আমাদের শরীরে কিছু কিছু ধ্বংসাত্মক ভূমিকা পালন করে।

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

0 মন্তব্যসমূহ

X

Never Miss an Update!

Join my newsletter to get the latest posts from littlemag.in directly to your inbox.