"সাত মাসে ২৩,৬৬৬ জন, সাপে কাটায় বাংলা দ্বিতীয়"
...... সংবাদ প্রতিদিন, ১৯/১২/২০১৭
====================================
সুমিত্রা : সাপে কতজনকে কেটেছে তার পরিসংখ্যান পেয়েছি। কিন্তু সাপে কাটায় মৃত্যুর নিরিখে, পশ্চিমবঙ্গের স্থান ঠিক কোথায় তার পরিসংখ্যান নেই। এর সাথে আরো এক পরিসংখ্যান খুঁজবো। গত পাঁচ বছরে ঠিক কতজনকে সাপে কামড়েছে? তাহলে আলোচনায় আরো সুবিধা হয়। সাথে জানতে চাইব সাপ কেন ছোবল মারে? তাহলে এই আলোচনায় সাপেদের প্রতিও সুবিচার করতে পারব। সাপ তো আমাদের শত্রু নয়।
আগে তো কাছাকাছি হাস্পাতালগুলিতে AVS রাখতে হবে।
গরম পড়ার সঙ্গে সঙ্গে একটা কর্মসূচী নেওয়া যায়, গ্রামের দিকে জেলা হাসপাতালে কয়েকজন মিলে গিয়ে খোঁজ নেওয়া---- দাদা AVS দেওয়ার ব্যবস্থা আছে?.... তার সঙ্গে ওই পেপার CUTTING এর কপি দিয়ে জানিয়ে দেওয়া। আমরা সাপ নিয়ে সচেতনতা র কাজ করি।
এখন শুনলাম সরকার জেগে উঠেছে। তাহলে AVS রাখা এবং দেওয়ার ব্যবস্থা নিয়ে যথাযোগ্য সাহায্য পাওয়া যেতে পারে। সাপে কাটার কথা আছে, কিন্তু মৃত্যুর কথা লেখেনি।
অরিন্দম : ঠিক। কামড়ালে মৃত্যু হতে পারে, বাংলায় এমন সাপের শতকরা হিসাব কত। শুনেছি, দশ ভাগ বা তারও কম।
রাণা : তারপরেও বেশিরভাগ মৃত্যু ঘটে হার্ট ফেলিওরে অথবা ওঝা গুনীনদের কাছে সময় নষ্ট করে। এখানে সচেতনতা বৃদ্ধিও জরুরি।
অরিন্দম : ক্যানিং যুক্তিবাদী সংস্থা সাপ নিয়ে অনেক কাজ করত। এই বিষয়ে ওরা একটা বেশ মোটা বই বার করেছিল। ৫০০/- মতন দাম। শুনেছিলাম ওরা নাকি ফান্ডেড এনজিও। ঠিক জানিনা।
ঠিক। রানা/ অনাবিল, পারলে একটু ছানবিন কর। হয়ত তোদের কাছে আছে এগুলো। সঠিক তথ্য হাতে থাকা জরুরি। প্রয়োজনে, আমার কিছু ডাক্তার বন্ধুদেরও সাহায্য নেব।
রাণা : 🤔🤔🤔🤔 আমার মনে হয় অন্য দিকেও আলোকপাত করতে পারি। জমি মাফিয়া ও সরকারের আগ্রাসী মনোভাবে সাপেদের স্বাভাবিক বাসস্থান কমে যাচ্ছে। ফলে মানুষ ও প্রকৃতির মধ্যে যে বিরোধের প্রক্রিয়া তাও তরান্বিত হচ্ছে। সাপের কামড় সেই প্রক্রিয়ারই অন্তর্গত। আমার মনে হয় সাপ নিরীহ ও বাস্তুতন্ত্র সহায়ক জীব। ভয় পেলে বা আক্রান্ত হলেই তারা আক্রমণ করে। সাপেদের স্বাভাবিক বাসস্থান বজায় রাখা বা প্রকৃতির ভারসাম্যকে স্থিতিশীল রাখাও আমাদের সচেতনতা প্রসারের অঙ্গ হতে পারে। সাপ আমাদের শত্রু নয়।
অরিন্দম : ঠিক। এটা একটা নতুন angle।
মৃণাল : নামটা খুব সম্ভবত দীপক মিত্র। সাপ নিয়ে সচেতনতার কাজ করেন। নিজস্ব সাপের ফার্ম আছে। প্রায় বছর 20 আগে রেডিওতে কলকাতা ক চ্যানেলে ওনার একটা সাক্ষাৎকার শুনেছিলাম। মূলত বৃষ্টি হয় এমন সব জায়গায় সাপের আধিক্য বেশী। সেই সুবাদে সাপের কামড়ে মৃত্যুও বেশী। যেমন- ভারত, বাংলাদেশ, শ্রীলঙ্কা প্রভৃতি। মজার কথা এটাই- আমাদের দেশে 80% এর বেশী সাপ নির্বিষ। আবার সাপে কাটার রোগীর 85% এর ও বেশী ভয় ও আতঙ্কজনিত কারনে মারা যায়। পৃথিবীতে বোধহয় দ্বিতীয় অন্য কোনো প্রনী নেই যার ক্ষেত্রে এমনটা ঘটে। শুধুমাত্র ভয়ের কারনে সাপ নিয়ে প্রচুর গল্পগাথা চালু আছে। প্রথমত এই কুসংষ্কারজনিত ভয় দুর করা জরুরি। সাপ সম্বন্ধীয় বিভিন্ন তথ্য সঠিকভাবে প্রচার করা জরুরী। যে কাজটা ক্যানিং যুক্তিবাদী সমিতি করে। দ্বিতীয়ত: সুমিত্রাদি যেটা বলল যে গ্ৰামীন হাসপাতালে গিয়ে AVS এর ব্যাপারে খোঁজ নেওয়া। আপাতত এটুকুই মাথায় আসছে।
অরিন্দম : দীপক মিত্রর স্নেক পার্ক ছিলো, মধ্যমগ্রামে বাদু বলে একটা জায়গায়। সম্ভবত এখন নেই। এভিএস দেবার একটা বিশেষ পদ্ধতি আছে বলে শুনেছি। এই ট্রেনিং এর অভাবেও অনেক ডাক্তার এভিএস থাকলেও দেবার ঝুঁকি নিতে চায় না। এই নিয়ে কর্মশালাও হতে পারে। ডঃ অমিয় কুমার হাটি এই সংক্রান্ত ব্যাপারে একজন বিশেষজ্ঞ।
অনাবিল : বিভিন্ন বিজ্ঞান সংগঠন এবং যুক্তিবাদী সমিতির একটা লাগাতার প্রচার আছে। সংঙ্গে সরকারি প্রাথমিক স্বাস্থ্য কেন্দ্র গুলো ব্যতিক্রম নাহলে ASV রাখা হচ্ছে। সরকারের কিছু প্রচারের প্রয়াস আছে। কিন্তু কিন্তু কিন্তু দীর্ঘ কুসংস্কারের দাগ লেগে রয়েছে গ্রামবাংলায়। সাপের কাটা রুগীর সাথে প্রথার নামে (যেটা ঝাড়ফুঁক হোক বা অন্যকিছু কিছু অবৈজ্ঞানিক) ব্যবস্থা নিচ্ছে আত্মীয় পরিজন (অনেক ক্ষেত্রে সব জানবার পরও) পরিস্থিতি ঘোরালো করে দিচ্ছে। এবং হাসপাতালে গেলেও রুগীরর মৃত্যু হচ্ছে। তখন আবার উনারা ছড়াচ্ছে সাপেকাটা রুগীরর বাঁচানোর ক্ষমতা নেই চিকিৎসক বা ব্যবস্থা নেই হাসপাতালের।।
এখানে দুটি জিনিষ ঘটছে, ১) একটা ইচ্ছা/অনিচ্ছা কৃত মৃত্যুর অপরাধ সংঘটিত হচ্ছে।, ২) কুসংস্কারের ভীত অক্ষত রয়ে যাচ্ছে প্রথার রূপে।
আবার, ১) প:ব: সরকার অন্য বিপর্যয় মৃত্যুর জন্য ২লক্ষ টাকাও দিচ্ছে সাপেকাটা রুগীদের পরিবারদের। শুধু পোষ্টমোর্ডাম রিপোর্টে হার্ট ফেল বা অন্য অবহেলা নয়, সাপে কেটেছে দিলেই হল।, ২) আর ওইসব ওঝা, গুনিন বা জানগুরুরা ব্যবহৃত হচ্ছে কন্টেক কিলার বা সুপারি কিলার রূপে।
সরকারের কোন উদ্যোগ নেই, যেমন চলছে চলুক ১)এলাকার ওইসব ওঝা,জানগুরু বা গুনীনদের এই সুপারি কিলালের প্রকাশ্যে বন্ধ করার আইন প্রয়োগ।, ২) সঠিকতর পুলিসি তদন্তের ব্যবস্থা যেখানে কি কারনে রুগীর পরিবারবর্গ সরাসরি হাসপাতাল করলো না সঠিক শিক্ষা নেই, প্রথায় অনড় না সত্যি কোন হত্যার পরিকল্পনা কাজ করেছে।, ৩) এবং টাকা পাবার পর পরিবারবর্গ এর থেকে মুছেলেখার বা স্বাগরক্তি লেখার ব্যবস্থা নেই, যে এরপর এই ভুল বা ভুলচর্চা নিজে বা কাউকে করতে দেবেনা। এদের দিয়েই সরকারের যদি প্রচার করে তাদের নিজস্ব অঞ্চলে ভালো ফলপ্রসূ ফল পাওয়া যাবে। এই সমাজের অনিচ্ছাকৃত মৃত্যুর মিছিল একধাপে অনেক কমে যাবে। যেরকম চমকপ্রদ ফল পাওয়া গেছে পোস্ত চাষের ক্ষেত্রে, সরকারের নির্দেশ যে গ্রামে কোথায় অবৈধ পোস্ত চাষ হলে গ্রাম পঞ্চায়েতের সদ্যস্যকেই ধরা হবে বা আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে যদিনা আগে খবর দেয়। এই ব্যবস্থা করলে উক্ত মৃত্যুর হার শূন্যতে নেমে যাবে আশা রাখি।
0 মন্তব্যসমূহ